বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
॥বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি॥ বালিয়াকান্দি উপজেলার পদমদী গ্রামে অবস্থিত সমাধিতে গত ১৩ই নভেম্বর সকালে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা আয়োজনে কালজয়ী উপন্যাস ‘বিষাদ সিন্ধু’র রচয়িতা অমর কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন, বাংলা একাডেমী, মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্যে পরিষদ, বালিয়াকান্দি এবং মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদ, বালিয়াকান্দিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মীর মশাররফ হোসেনের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করা হয়।
এ সময় রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সরোয়ার আহমেদ সালেহীন, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা, বাংলা একাডেমীর প্রোগ্রাম অফিসার ও মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা শেখ ফয়সাল আমীন, নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসান আলী, মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদ, বালিয়াকান্দির সভাপতি অবঃ অধ্যক্ষ বিনয় কুমার চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক মুন্সী আমীর, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদ, বালিয়াকান্দির সভাপতি সুজয় পাল, সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দিবসটিকে ঘিরে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়।
বাংলা একাডেমীর প্রোগ্রাম অফিসার ও মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মীর ফয়সাল আহমেদ জানান, প্রতি বছর মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীতে বাংলা একাডেমীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। এবারও তাঁর ১৭৩তম জন্ম বার্ষিকীতে অনুষ্ঠান আয়োজনসহ স্মৃতি কমপ্লেক্সে একটি পূর্ণাঙ্গ বই বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটি সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, খ্যাতিমান মনীষি মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ই নভেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনী পাড়া গ্রামের মাতুলালয়ে (মামা বাড়ীতে) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব, কৈশোর, যৌবনকালসহ জীবনের শেষ দিনগুলো কেটেছে পৈত্রিক নিবাস রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে। ১৯১২ সালের ১৯শে ডিসেম্বর পদমদীতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মতোই তাঁর পিতা মীর মোয়াজ্জেম হোসেন, সহধর্মিনী কুলসুমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও পদমদীর নবাব বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। তাঁর রচিত বিষাদ সিন্ধু, জমিদার দর্পণ, রত্নাবতী, বসন্ত কুমারী নাটক, গাজী মিয়ার বস্তানী, উদাসীন পথিকের মনের কথা, আমার জীবনীসহ বিভিন্নধর্মী ৪২টি গ্রন্থ বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।
Leave a Reply